চীন বন্যার্তদের জন্য ২০ হাজার মার্কিন ডলার অনুদান দিলেন বাংলাদেশকে
চীন বন্যার্তদের জন্য ২০ হাজার মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছেন। এই অনুদান বাংলাদেশের বন্যাক্রান্ত অঞ্চলের মানুষের সহায়তায় ব্যবহৃত হবে। চীন ও বাংলাদেশ মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের একটি অংশ হিসেবে এই অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। চীনের এই সহায়তা বাংলাদেশের ত্রাণ কার্যক্রমে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করবে।
ত্রাণ তৎপরতায় চীন উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার ঘোষণা দিয়েছে। রোববার চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বাংলাদেশের বন্যা দুর্গত মানুষের প্রতি সহমর্মিতা ও সংহতি প্রকাশ করতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে রাষ্ট্রদূত ইয়াও ঘোষণা করেন যে চীনের রেড ক্রস সোসাইটি জরুরি মানবিক সহায়তার জন্য বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিকে নগদ $১০০,০০০ অনুদান দেবে।
উপরন্তু, চীনা দূতাবাস প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে $২০,০০০ দান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তারা ফেনী এবং অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চলের জনগণকে সহায়তা করার জন্য ৬০ লাখ টাকা মূল্যের খাদ্য ও অন্যান্য ত্রাণ সরবরাহ করবে। চীনা দূতাবাসের অন্যান্য কূটনীতিকদের সাথে মিনিস্টার কাউন্সেলর লিউ ইউয়িন ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম তদারকি ও অংশগ্রহণের জন্য ভ্রমণ করেছেন।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বন্যার ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতিতে শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি নিহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে বলেন। প্রয়োজনে বাংলাদেশকে আরও সহায়তা দিতে প্রস্তুত চীন।
তিনি চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে দৃঢ় অংশীদারিত্বের ওপর জোর দেন এবং উল্লেখ করেন যে দুই দেশ ব্যাপক কৌশলগত অংশীদার। রাষ্ট্রদূত আশ্বস্ত করেন যে চীনা জনগণ বাংলাদেশি জনগণের দুঃখ-কষ্টের অংশীদার এবং তাদের দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে এবং তাদের বাড়িঘর পুনর্নির্মাণে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সরকারি সাহায্যের পাশাপাশি, বাংলাদেশে চীনা উদ্যোগ এবং কর্মীরা সক্রিয়ভাবে ত্রাণ প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণ করেছে, ২৪ আগস্ট পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় ৪০ লাখ টাকা নগদ এবং প্রায় ২৬ লাখ টাকার সরবরাহ প্রদান করেছে। দূতাবাস জানিয়েছে, অনুদান চলছে।
এছাড়া দুই দেশের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী চীন বন্যা সংকট মোকাবেলায় সহায়তার জন্য বাংলাদেশকে প্রতিদিন দুবার উজানের নদী থেকে জলবিদ্যুৎ সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করছে। এই সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা প্রয়োজনের সময়ে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং পারস্পরিক সমর্থনের উপর জোর দেয়।
বাংলাদেশে বন্যার্তদের সংরক্ষণে চীনের অবদান বিশ্বব্যাপী পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্বের ওপর জোর দেয়। সংরক্ষণ প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে, চীন শুধুমাত্র বিপন্ন বন্যার্তদের রক্ষায় তার প্রতিশ্রুতিই প্রদর্শন করছে না।
বরং পরিবেশগত উদ্বেগ মোকাবেলায় বাংলাদেশের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলছে। এই অনুদান নিঃসন্দেহে বাংলাদেশে সংরক্ষণ উদ্যোগকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে, ভবিষ্যতের প্রজন্মের জন্য গ্রহের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার গুরুত্ব তুলে ধরবে।
এই অনুদান ব্যবহার করা হবে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হল বন্যার্তদের আবাসস্থল রক্ষা করা। বন্যার্তদের বাসস্থান ধ্বংস এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান হুমকির সাথে, অনেকে তাদের প্রাকৃতিক পরিবেশে উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। বাসস্থান সুরক্ষা উদ্যোগে বিনিয়োগের মাধ্যমে, বাংলাদেশের সংরক্ষণবাদীরা বন্যার্তদের সমৃদ্ধির জন্য নিরাপদ স্থান তৈরি করতে সক্ষম হবে, তাদের দীর্ঘমেয়াদী বেঁচে থাকা নিশ্চিত করবে।
মোমেন্টারি আইটিতে আপনার মতামত কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url