বন্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশের পাশে পাকিস্তান
বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম এক্স-এ পোস্ট করেছেন। তারা বাংলাদেশের বন্যা মোকাবিলায় সহায়তা করবে। এটি সাধারণত দুটি দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের প্রচেষ্টা এবং মানবিক সহায়তার একটি উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হয়। এমন সহযোগিতা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং মানবিক সংকটের সময়ে আন্তর্জাতিক সংহতি প্রদর্শনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে শেহবাজ শরীফ তার এক্স অ্যাকাউন্টে খবরটি পোস্ট করেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ লিখেছেন যে তিনি বাংলাদেশে বন্যায় প্রাণহানি ও ধ্বংসযজ্ঞে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমি বাংলাদেশের জনগণ এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। এই ট্র্যাজেডি উপলক্ষে পাকিস্তান বাংলাদেশের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে। আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশের সহনশীল জনগণ তাদের অনন্য অধ্যবসায় ও দৃঢ়তা দিয়ে এই কঠিন সময়কে অতিক্রম করবে।
তিনি আরও লিখেছেন যে বাংলাদেশে বন্যায় প্রাণহানি ও ধ্বংসযজ্ঞে তিনি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমি বাংলাদেশের জনগণ এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। এই ট্র্যাজেডি উপলক্ষে পাকিস্তান বাংলাদেশের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে।
আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশের সহনশীল জনগণ তাদের অনন্য অধ্যবসায় ও দৃঢ়তা দিয়ে এই কঠিন সময়কে অতিক্রম করবে। একই দিন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় পাকিস্তানের হাইকমিশনার সাঈদ আহমেদ মারুফ। গুলশানে বিএনপি সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক হয়।
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কমিটির সদস্য আমির খসরো মাহমুদ চৌধুরী ও শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি উভয় দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশের ১১টি জেলা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব এলাকায় ৮ লাখ ৮৭ হাজার,৬২৯ টি পরিবার পানিতে রয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা আনুমানিক ৪.৫ মিলিয়ন। এ পর্যন্ত ১৩টি লাশ পাওয়া গেছে।
সচিব, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। কামরুল হাসান জানান, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব এলাকায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, বিজিবি, ফায়ার ব্রিগেড, পুলিশ এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে উদ্ধার তৎপরতা চালানো হচ্ছে।
অগ্নিনির্বাপণের কৌশল এবং কৌশলগুলি ভাগাভাগি করা থেকে শুরু করে সরঞ্জাম এবং লজিস্টিক্যাল সহায়তা প্রদান পর্যন্ত, পাকিস্তানের সহায়তা বাংলাদেশকে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়া দাবানল নিয়ন্ত্রণে এবং নিভিয়ে দিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। একসাথে কাজ করে এবং তাদের প্রচেষ্টাকে একত্রিত করে, এই দুটি দক্ষিণ এশিয়ার দেশ তাদের মূল্যবান বাস্তুতন্ত্র রক্ষা করতে পারে।
এবং পরিবেশ, বন্যা এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের উপর দাবানলের বিধ্বংসী প্রভাব প্রশমিত করতে সহযোগিতা করতে পারে। এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতা ও সংহতির শক্তি প্রদর্শন করতে পারে, যা বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্য অনুসরণ করার জন্য একটি ইতিবাচক উদাহরণ স্থাপন করতে পারে।
অবশেষে বলা যায় বন্যা মোকাবেলায় করার জন্য বাংলাদেশের পাশে থেকে কাজ করতে চান পাকিস্তান। এই ভয়াবহ বন্যা মোকাবিলা করার জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পাশে থাকতে চান বলে জানিয়েছেন এটি বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় অবদান। এই বন্যা মোকাবিলা বাংলাদেশের মানুষ করতে পারবে এবং এই ছাত্র সমাজ আর জনগণ বন্যা মোকাবিলা করে ভারতকে দেখিয়ে দিচ্ছে।
আরেকটি কথা না বললেই নয়, বাংলাদেশ তার পার্শ্ববর্তী দেশকে কখনোই ভয় করেনা এবং করেনি আর করবেও না। এটি বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর জানা প্রয়োজন কারণ বাঙালি তার রক্ত দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছে এবং দেশের জন্য বাংলাদেশের মানুষ সবকিছু করতে প্রস্তুত রয়েছে। সুতরাং বাংলাদেশকে ভয় দেখিয়ে কোন পার্শ্ববর্তী দেশ সফলতা অর্জন করতে পারবে না এবং দমিয়ে রাখতে পারবে না।
মোমেন্টারি আইটিতে আপনার মতামত কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url