ভারতের ডম্বুর গেট খুলে দেওয়া হয়েছে

ভারতের ডম্বুর গেট পানির গেট সম্প্রতি খোলার ফলে গোমতী নদীতে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকা, বিশেষ করে ফেনী, কুমিল্লা ও নোয়াখালী জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এই বন্যায় বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং এলাকা প্লাবিত হয়। ভারতের ডম্বুর গেট খুলার কারনে দুই দেশের মধ্যে কিছু বিরোধ রয়েছে।

ভারতের ডম্বুর গেট খুলে দেওয়ায় কুমিল্লা ও ফেনী জেলায় বন্যা পরিস্থিতি নাজুক হয়ে পড়েছে। কুমিল্লায় গোমতী নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে উঠে যাওয়ায় নিচু এলাকা প্লাবিত ও ফসলের ক্ষতি হয়েছে। পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ফেনী এলাকায় হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এবং অনেক রাস্তাঘাট বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অব্যাহত বৃষ্টির কারণে পানির স্তর আরও বাড়লে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ভারতের ডম্বুর গেট রাজ্যের একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। এটি গোমতী নদীর উপর অবস্থিত একটি বাঁধের অংশ, যা ত্রিপুরার দক্ষিণাঞ্চলে, উদয়পুর শহরের কাছাকাছি অবস্থিত। ভারতের ডম্বুর গেটটি মূলত একটি জলাধার বা ড্যামের প্রধান গেট, যেখানে ভারতের ডম্বুর গেট জলাধার থেকে পানি প্রবাহিত হয়।

ভারতের ডম্বুর জলাধারটি একটি সুন্দর হ্রদ তৈরি করেছে, যা আশেপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশের জন্য পরিচিত। এটি একটি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হয়, বিশেষ করে নৌকা ভ্রমণ, মাছ ধরা, এবং পিকনিকের জন্য জনপ্রিয়। ডম্বুর জলাধারটি পাশের অঞ্চলগুলিতে কৃষি সেচ ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্যও ব্যবহৃত হয়।

ভারতের ডম্বুর গেট খোলার ফলে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে আলোচনা ও তর্ক-বিতর্ক হয়েছে, কারণ নদীটি সীমান্তের উভয় পাশের সম্প্রদায়ের জন্য জীবনরেখা হিসেবে কাজ করে। এই অঞ্চলে সেচ ব্যবস্থা, মাছ ধরার শিল্প এবং সামগ্রিক জল নিরাপত্তার উপর প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। অন্যান্য অঞ্চলে জলের বিরোধ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে ইতিমধ্যেই উত্তেজনা বেশি থাকায়, ভারতের ডম্বুর গেটের পরিস্থিতি এই সমস্যাগুলিকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কুমিল্লা অঞ্চলটি পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সীমানা। উভয় অঞ্চলই ভারী বর্ষার বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, গত ৭২ ঘণ্টায় ভারতের কুমিল্লার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি বৃষ্টি হয়েছে।

ভারতের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা দিল্লিতে একটি দুর্দশা কল পাঠিয়েছেন, ক্রমবর্ধমান বন্যা সঙ্কট মোকাবেলায় সাহায্য চেয়েছেন কারণ বৃষ্টি থামার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না এবং হাজার হাজার মানুষ আটকা পড়েছে। তিনি সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করার নির্দেশ দেন এবং আসাম রাইফেলস, দুর্যোগ পরিস্থিতিতে দ্রুত প্রতিক্রিয়ার জন্য পরিচিত, দ্রুত তার দলগুলিকে একত্রিত করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়েছিল।

বিশৃঙ্খলার মধ্যে, ত্রিপুরা কর্তৃপক্ষ রাতারাতি ভারতের ডম্বুর গেট জলাধারের ফ্লাডগেট খুলে দেওয়ার এবং আন্তঃসীমান্ত গোমতী নদী দিয়ে প্রচুর পরিমাণে বন্যার জল বাংলাদেশের কুমিল্লায়, ফেনি প্রবাহিত করার জন্য একটি অবিলম্বে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

৪টি অঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত লাখ লাখ মানুষ। পরিণতি ছিল তাৎক্ষণিক: বুধবার সকাল থেকে কুমিল্লার কৃষি জমির বিস্তীর্ণ অংশ পানির প্রবাহে প্লাবিত হয়েছে এবং হাজার হাজার হেক্টর মানুষ তাদের জীবন-জীবিকা, ঘরবাড়ি ও ফসল নষ্ট করেছে। ভারতের ডম্বুর গেট খোলার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে ভারতীয় বা ভারতের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ না হওয়ায় এটি বাংলাদেশি সীমান্ত কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে দেয় - ১৯৯৩ সালের পর এই ধরনের প্রথম পদক্ষেপ।

এটি বোঝা যায় যে ৩১ বছর পর দরজা খোলার সিদ্ধান্তটি ভারতে অবিরাম ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে কর্মকর্তারা ঢাকা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেননি, যে ভারতের একটি রাজ্য (ত্রিপুরা) যখন জীবন ও সম্পত্তিকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করে এমন ব্যবস্থা নেয় তখন ভারত বাংলাদেশকে অবহিত করেনি। ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কুমিল্লা সীমান্তের মানুষকে।

তিনি আরও বলেন, ভারত তাদের এই পদক্ষেপের কথা আগেই জানিয়ে দিলে বাংলাদেশ আকস্মিক বন্যা থেকে জনগণ ও সম্পত্তি রক্ষায় কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে পারত।

ভারতের ডম্বুর গেট সম্প্রতি খোলার ফলে গোমতী নদীতে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকা, বিশেষ করে ফেনী, কুমিল্লা ও নোয়াখালী জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এই বন্যায় বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং এলাকা প্লাবিত হয়। দুই দেশের মধ্যে কিছু বিরোধ রয়েছে।

ভারতে ডম্বুর গেট খুলে দেওয়ায় কুমিল্লা ও ফেনী জেলায় বন্যা পরিস্থিতি নাজুক হয়ে পড়েছে। কুমিল্লায় গোমতী নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে উঠে যাওয়ায় নিচু এলাকা প্লাবিত ও ফসলের ক্ষতি হয়েছে। পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ফেনী এলাকায় হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এবং অনেক রাস্তাঘাট বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অব্যাহত বৃষ্টির কারণে পানির স্তর আরও বাড়লে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরায় গত ৩ দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা হয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন। এবং সেখানকার সরকার বিভীষীকে বলেছেন আগস্ট মাসে যা বৃষ্টিপাত হয়েছে তা স্বাভাবিকের চেয়ে ১৫১% এরও বেশি। এই জন্য তাদের কথা মতে ভারতের ডম্বুর গেট খুলে দেওয়া হয়েছে।

তারা বলেছেন এখন পর্যন্ত অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং দুজন নিখোঁজ রয়েছে বলে রাজ্য প্রশাসন তাদেরকে জানিয়েছেন এবং আরো অনেক কিছু জানিয়েছেন গত ২৪ ঘন্টার মধ্যে মারা গেছেন ৭ জন। ভারতে অবস্থিত ডম্বুর গেট খুলে দিবার ফলে বাংলাদেশের অনেক মানুষ মারা গেছেন সেই দিকে কি তারা একবার ও খাল করেছেন? 

ভারতে অবস্থিত ডম্বুর গেট খুলে দেওয়ার ফলে বাংলাদেশের কুমিল্লা, ফেনি এবং বেশ কিছু জেলার মানুষ নিয়ত হয়েছে এবং মৃত্যুবরণ করেছে। ভারত তাদের কথা বিবেচনা করে এবং তাদের দেশকে সচ্ছল রাখার জন্য ভারতে অবস্থিত ডম্বুর গেট খুলে দিতে দ্বিধাবোধ করেননি।

তারা একটাবারও বাংলাদেশের কথা ভাবেনি তারা যদি ভারতের ডম্বুর গেট খুলে ফেলেন তাহলে বাংলাদেশের অবস্থা কতটা ভয়ানক হতে পারে। অবশেষে বলা যায় বাংলাদেশের মানুষ এই বিষয় নিয়ে চুপ থাকবে না। ভারতের ডম্বুর গেট খোলা এবং ফারাক্কা বাঁধ খোলার জন্য একটি সুষ্ঠু বিচার প্রদান করা হবে।

ভারত বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন গোবিন্দ জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে অধীন ডম্বুর জলধার সেই জেলায় আগস্ট মাসের স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হওয়ার থেকে ১৯৬৫.৫ মিলিমিটার। অথচ সেখানে অধিক পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে যেমন ৬৫০.৫ মিলিমিটার যা ২৩৪% এর বেশি।

অবশেষে, বলা যায় ভারতের ডম্বুর গেট খুলা নিয়ে, ভারত সরকারের এই বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সাথে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করা। তবে ভারত সরকার সেটি করেনি বরঞ্চ বাংলাদেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং বাংলাদেশকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে বলা যায় ভারতের কারণে বাংলাদেশের মানুষের প্রাণহানি হলে ভারত সহ বিভিন্ন সেভেন সিস্টারও অক্ষর থাকবে না বলে জানিয়েছেন ডক্টর ইউনুস।