ব্লগ থেকে আয় করার জন্য কিসের এপ্রুভাল প্রয়োজন হয়
ব্লগ থেকে আপনি বিভিন্ন উপায়ে আয় করতে পারবেন। তবে আয় করার জন্য আপনার এপ্রুভাল প্রয়োজন হবে। ব্লগ থেকে আয় করার জন্য কিসের এপ্রুভাল প্রয়োজন হয়। সেই বিষয়ে এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা বিস্তারিত জানবো।
আয় করার জন্য আপনাকে অবশ্যই প্রয়োজনীয় নীতিমালা মানতে হবে তবেই এপ্রুভাল পাবেন। ব্লগে যে কনটেন্ট গুলো পাবলিশ করা হবে সেই কনটেন্ট গুলো যেন গুণগত মান ও দর্শক সংখ্যা বৃদ্ধি করে এমন ব্লগার প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হবে।এবং এর নিয়মাবলী অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
ব্লগিং কি
ব্লগিং এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে একের অধিক বা একজন ব্যক্তি একটি ওয়েবসাইটে ব্লগের মাধ্যমে মতামত প্রকাশ করতে পারে। ব্লগিং একটি ডায়েরি বা ডিজিটাল পদ্ধতি বলা যাই কারণ বর্তমানে এটির প্রচার অনেক। ব্লগিংয়ের মাধ্যমে ব্যবসায়িক কৌশল তথ্য প্রচার, ব্র্যান্ড প্রমোশন, শিক্ষামূলক উদ্দেশ্য, ব্যবহার করা হচ্ছে।
আরো পড়ুনঃ বাংলা ও ইংরেজি আর্টিকেল লিখে আয় করুন
ব্লগিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ দিক নিচে দেয়া হলোঃ
ব্লগ প্ল্যাটফর্ম
কন্টেন্ট তৈরি
আপনি বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট লিখতে পারবেন এবং ছবি ভিডিও অডিও ক্লিপ ইত্যাদি প্রচার করতে পারবেন ব্লগের মাধ্যমে।
নিয়মিত আপডেট
ব্লগ করতে হলে আপনাকে নিয়মিত কনটেন্ট পোস্ট করতে হবে। যাতে করে আপনার পোস্টগুলো নিয়মিত পাঠক পড়তে পারে। এতে করে আপনার ব্লগে ট্রাফিক বৃদ্ধি পাবে।
দর্শক বা পাঠক
একটি ব্লগিং এর জন্য দর্শক বা পাঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্লগার এ দর্শক বা পাঠক আনার জন্য বিভিন্ন ধরনের কৌশল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমনঃ Seo, Guest, Posting ইত্যাদি।
আয়
ব্লগ থেকে আয় করার জন্য কিসের এপ্রুভাল প্রয়োজন হয় কি? ব্লক থেকে আয় করার অনেক উপায় আছে যেমন Google Adsense, Pad, Membership, Ebook Affiliate মার্কেটিং Fiverr বা কোর্স বিক্রি ইত্যাদি মাধ্যমে আয় করা যাই।
ব্লগ তৈরির নিয়ম
ব্লগ তৈরির নিয়ম অনুযায়ী কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হয় সেগুলো বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হলো।
ব্লগের উদ্দেশ্য
একটি ব্লগ তৈরি করার আগে ব্লগের উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি কোন বিষয়ে ব্লগ তৈরি করবেন এবং ব্লগের মাধ্যমে কি পাঠকের কাছে শেয়ার করতে চান তা নির্ধারণ করতে হবে।
ব্লগের নাম ও ডোমেইন
- আপনার ব্লগের নামটি প্রথমত আপনাকে বেছে নিতে হবে যেটি আপনার ব্লগের নাম হিসেবে প্রচলিত হবে।
- ডোমেইন নাম আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে এবং ডোমেইন ক্রয় করতে হবে।
ব্লগিং ওয়েবসাইট
বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাটফর্ম রয়েছে ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য এর মধ্যে কিছু জনপ্রিয় ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম রয়েছে তা নিচে উল্লেখ করা হলো।
Blogger.com
সুবিধা ও অসুবিধা
সুবিধা
- সম্পূর্ণ বিনামূল্য।
- গুগল এডসেন্স পাওয়া যায়।
- ব্যবহার করা খুবই সহজ।
অসুবিধা
- সীমিত কাস্টমাইজেশন অপশন কিন্তু এতে অসুবিধা তেমন হয় না।
- ব্লগার সাইটটি গুগলের নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- এই সাইটটির খুব একটা অসুবিধা নেই বললেই চলে।
Wordpress.com
সুবিধা ও অসুবিধা
সুবিধা
- বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায় (সীমিত কিছু বৈশিষ্ট্য)
- সহজ ভাবে ব্যবহার করার যায়।
- কোন হোস্টিং এর প্রয়োজন নেই।
অসুবিধা
- সীমিত কাস্টমাইজেশন করা যায়।
- বিজ্ঞাপন বা মনিটাইজেশন কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
- কোন প্লাটফর্ম থেকে ব্লক তৈরি করা যায়।
একটি ব্লক তৈরী করার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্লাটফর্ম আছে। যে প্লাটফর্ম গুলো ব্যবহার করে আপনি সহজেই ব্লক তৈরি করতে পারবেন। ব্লগিং প্ল্যাটফর্মের তালিকায় কিছু জনপ্রিয় ব্লগ তৈরি করার সাইড রয়েছে তার মধ্যে Blogger.com, Wordpress.com, Medium এই সাইটগুলো থেকে খুব সহজেই ব্লক তৈরি করতে পারবেন।
এখন আপনি কোন প্লাটফর্ম থেকে আয় করতে চান সেটা আপনার উপরে নির্ভর করবে। ব্যক্তিগতভাবে আমার মতামত ব্লগার ওয়েবসাইট থেকে ব্লক তৈরি করতে পারেন। এটি সহজ এবং সবকিছু সহজেই করা যায় এবং এটি ফ্রী একটি সাইড।
ব্লগ থেকে আয় করার জন্য কিসের এপ্রুভাল প্রয়োজন হয়
ব্লক থেকে ইনকাম করার জন্য প্রথমত আপনাকে একটি ব্লগার একাউন্ট খুলতে হবে। এবং সেই ব্লগার একাউন্টে আর্টিকেল লিখতে হবে আর্টিকেল গুলো গুণগত মানের হতে হবে। যাতে ভিজিটররা আপনার ওয়েবসাইটে এসে লেখাগুলো পড়ে মুগ্ধ হয়। এবং কোন কিছু খুঁজতে আপনার ওয়েবসাইটে তারা যেন আসে কারণ ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রে ভিজিটর খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি যত ভিজিটর আনতে পারবেন ততই আপনার ব্লগিং এর জন্য ভালো এবং খুব তাড়াতাড়ি গুগল এডসেন্স আপনাকে এপ্রুভাল করে দিবে। এই জন্য বলা যায় ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রে আর্টিকেলগুলো মানসম্মত হতে হবে এবং দর্শকদেরকে মনোমুগ্ধ করতে হবে। এইভাবেই আপনি ব্লগ থেকে আয় করতে পারবেন। এইজন্য গুগল এডসেন্স থেকে এপ্রুভাল প্রয়োজন হয়ে থাকে।
ব্লগ থেকে কি ধরনের আয় হয় (passive income)
ব্লগের মাধ্যমে আপনি প্যাসিব ইনকাম করতে পারেন। কিভাবে প্যাসিভ আয় করবেন এর পদ্ধতি গুলো আসন জেনেনি। বর্তমানে ব্লগাররা ব্লগ থেকে প্যাসিভ ইনকাম করতে সক্ষম হচ্ছেন।
- বিজ্ঞাপন।
- এফিলিয়েট মার্কেটিং।
- প্রোডাক্ট বিক্রি।
- সাবস্ক্রিপশন।
- স্পন্সরশিপ।
- ড্রপ শিপিং।
- ইমেইল মার্কেটিং।
ওপরের এই কাজগুলো করে আপনি আয় করতে পারেন। তবে প্রতিনিয়ত আপনাকে ব্লগারে এক্টিভ থাকতে হবে এবং আপনার ব্লগটি রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে তাহলে আপনি আয় করতে সক্ষম হবেন।
মন্তব্য
ব্লগ থেকে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন। ইনকাম করার জন্য আপনাকে সময় দিতে হবে। এটি প্রথম দিকে আয় কম হতে পারে কিন্তু সময় যতদীর্ঘ হবে আপনার ব্লগারের ট্রাফিক বৃদ্ধি পাবে সাথে আয় ও বাড়বে।
অবশেষে বলা যায় ভালো কিছু পেতে হলে ধৈর্যের প্রয়োজন এবং পরিশ্রম করতে হবে তাহলে আপনি আপনার জীবনে সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
মোমেন্টারি আইটিতে আপনার মতামত কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url