আমাজন সেলার একাউন্ট

আমাজন সেলার একাউন্ট হচ্ছে পণ্য বিক্রয় করার স্থান। সেলার একাউন্ট থেকে সবাই প্রোডাক্ট ক্রয় করতে পারেন। এক কথায় এটি একটি দোকানের মতন এখান থেকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য ক্রেতারা ক্রয় করতে পারে। এবং সেই ক্রেতা সেলার একাউন্টে নিবন্ধকতা পেয়ে যান।

আমাজনের সেলার একাউন্ট কি এই বিষয়ে জানতে হলে আপনাকে নিজের পুরো অংশ পড়তে হবে। দয়া করে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন এবং এর বিস্তারিত জানুন।

Amazon হচ্ছে বিশ্বের একটি ই-কমার্স সেক্টর। অ্যামাজন হচ্ছে চতুর্থতম সাইট। অ্যামাজন অনেকগুলো সেক্টর কে পার করে আজকে সে তার অবস্থানে আসতে পেরেছে। অ্যামাজনকে এখন বিজনেস এর মডেল বলা হয়ে থাকে। অ্যামাজনের এফবি এর ফুল মিনিং হচ্ছে ফুলফিল্মেন্ট বাই অ্যামাজন। এটিকে হোলসেল এর মডেল বলা হয়ে থাকে।

অ্যামাজনের ৬৫% আয় হয়ে থাকে অ্যামাজন এফবিএ থেকে। বিভিন্ন দেশ থেকে অ্যামাজনের প্রোডাক্ট সেল করে। যেমন আমাদের পাশের দেশ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল তারা এই অ্যামাজন এফবিএ করে মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করে এই আমাজন সেলার একাউন্ট থেকে।

সাধারণত আপনার প্রোডাক্ট সেল করতে হলে প্রথমত আপনার একটি ইস্টরের প্রয়োজন হবে। আর সেই স্টোরের জন্য আপনাকে একটা একাউন্ট ক্রিয়েট করা লাগবে। এবং সেটি হচ্ছে আমাজন সেলার একাউন্ট। আর এই সেলার অ্যাকাউন্ট থেকে আপনার ইনকাম শুরু হবে।

তবে এই অ্যাকাউন্ট খুলতে প্রথমত আপনাকে বিভিন্ন ধরনের স্টেপ বজায় রেখে কাজগুলো সম্পূর্ণ করতে হবে। যেমন এই অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করতে হলে আপনার পাসপোর্ট থাকা লাগবে ক্রেডিট কার্ড থাকা লাগবে এবং ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। এবং আরো অনেক কিছু প্রয়োজন হবে।

ব্যবসা শুরু করার আগে প্রোডাক্ট এর বিষয়ে ধারণা থাকা লাগবে। কোন প্রোডাক্ট গুলোর বেশি চাহিদা এবং কোন প্রোডাক্ট গুলো বেশি সেল হবে সেই বিষয়ে জানা লাগবে এবং জ্ঞান থাকতে হবে। স্টোরে কোন ধরনের প্রোডাক্ট গুলো তুললে বেশি সেল হবে বা মানুষের কোন প্রোডাক্ট এর প্রতি বেশি চাহিদা সে বিষয়ে জ্ঞান থাকতে লাগবে।

অবশ্যই প্রোডাক্ট গুলো স্টরে তোলার আগে সেই প্রোডাক্ট গুলোর রিভিউ কেমন সেই বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। যেন প্রোডাক্ট এর মান ভালো হয় প্রোডাক্ট গুলো সেল তাড়াতাড়ি হয় এমন প্রোডাক্ট তুলতে হবে। এই জন্য প্রোডাক্ট এর রিভিউ টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

প্রথমত বলা যায় অ্যামাজন বাংলাদেশে নাই তবে আপনি কাজ করতে পারবেন আমাজন সেলার একাউন্ট খুলে। এখন আসুন জানি আমরা কিভাবে কাজ করতে পারি। আপনাকে অ্যামাজনে কাজ করতে হলে থার্ড পার্টি হিসেবে কাজ করতে হবে।

সেটা আপনি বাংলাদেশ বা ভারত হোক বা বিভিন্ন দেশের প্রান্তে থেকে কাজ করতে পারবেন থার্ড পার্টি হিসেবে। এই জন্য আপনাকে একটি বায়ার খুঁজতে হবে। তবে বায়ার ছাড়াও আপনি নিজেই কাজ করতে পারবেন বাংলাদেশে থেকে। সেজন্য আপনাকে একটা স্টোর ক্রিয়েট করতে হবে।

আমরা একটি ব্যবসা শুরু করার আগে বিভিন্ন কিছু নিয়ে গবেষণা করে থাকি। যাতে করে ব্যাবসায় কোন ধরনের ক্ষতি না হয়। তেমনি অ্যামাজন স্টর এটি একটি বিজনেস। আমাজন সেলার একাউন্ট কি ধরনের পণ্য তুললে বিক্রয় হবে তা জানতে হবে।

বায়ার কি ধরনের প্রোডাক্ট আমাদের স্টোর থেকে ক্রয় করবে সে বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে। যাতে করে প্রোডাক্ট ক্রয় করলে আমাদের প্রফিট হয় এবং প্রোডাক্ট বিষয়ে অনেক জ্ঞান থাকতে হবে। যে প্রোডাক্ট এর রেঙ্ক কম সেই প্রোডাক্টগুলো স্টোরে তুলতে হবে।

আমাজন সেলার একাউন্ট তৈরি করে, আমাজন স্টোর থেকে প্রোডাক্ট সেল করে আয় করা যায়। আপনার স্টোর বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট থাকবে এবং সেই প্রোডাক্টগুলো অর্ডার করলে আপনাকে বায়ারের কাছে পৌঁছায় দিতে হবে। এইজন্য প্রথমত আপনাকে একটি ওয়ার হাউজ নিতে হবে।

সেই ওয়ার হাউসে আপনার প্রোডাক্টগুলো রাখতে হবে। যখন বায়ার আপনাকে অর্ডার করবে তখন আপনাকে সেই প্রোডাক্ট গুলো ওয়ার হাউস থেকে নিয়ে বায়ারের কাছে হোম ডেলিভারি দিতে হবে।

Amazon FBA করে কি লাখ টাকা ইনকাম করা যায়? হ্যাঁ অবশ্যই Amazon FBA করে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করা যায়। এটা আপনিও করতে পারবেন একটি আমাজন সেলার একাউন্ট খুলে। তবে এই বিষয়ে আপনার জ্ঞান থাকতে হবে। এবং Amazon FBA কি? সে বিষয়ে আপনাকে জানতে হবে।

তাহলে আপনিও Amazon FBA করে মাসে লাখ খানিক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনাকে অনেক পরিশ্রম করতে হবে এবং এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হবে। তাহলে অন্যদের মতন আপনিও পারবেন লাখ টাকা ইনকাম করতে।

আমাজন সেলার একাউন্ট বিষয়ে আমরা উপরে অনেক কিছু জানতে পেরেছি। আমাজন এর বিষয়ে এই সব জেনে আমরা কি ইনকাম করতে পারব? হ্যাঁ আপনি ও ইনকাম করতে পারবেন অ্যামাজন সেলার অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করার জন্য আপনি আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন এবং নিচের কমেন্ট বক্সে আপনার কোন সাহায্য লাগলে কমেন্ট করতে পারেন।